শওগাত আলী সাগর : [২] ‘ফায়ার কোড’ বলে একটা কথা আছে। বাড়ি ঘর বানাতে, সেটি আবাসিক হোক আর বাণিজ্যিক হোকÑ ‘ফায়ার কোড’ অবশ্যই অনুসরণ করতে হয়। বঙ্গবাজারে ফায়ার কোড অনুসরণ করা না হয়ে থাকলে তার দায় সেখানে যাদের ভবন আছে তাদের। ফায়ার কোড অনুসরণ করা হচ্ছে কিনা তা দেখভাল করার নির্দিষ্ট বিভাগ আছে। তারা তাদের দায়িত্ব পালন করেছে কি না, না করলে কেন করেনি,  এই প্রশ্নটি সামনে আনা দরকার।

[৩] ফায়ার সার্ভিস ও সিভিল ডিফেন্সের মহাপরিচালক (ডিজি) ব্রিগেডিয়ার জেনারেল মো. মাইন উদ্দিন বলেছেন ২০১৯ সালের ২ এপ্রিল বঙ্গবাজার মার্কেটটি অত্যন্ত ঝুঁকিপূর্ণ হিসেবে ঘোষণা করা হয়েছিল। তারা ব্যানারও দিয়েছিলাম। এরপরে দশবার নোটিশ দেওয়া হয়েছেÑ এই ভবন অত্যন্ত ঝুঁকিপূর্ণ। এই দশবারের নোটিশ কেন কার্যকর হয়নি, কাদের এটি কার্যকর করার কথা ছিলো, তারা কেন করেনিÑ এ নিয়ে প্রশ্ন তোলা দরকার, আলোচনা করা দরকার। [৪] বঙ্গবাজারের আগুন নিয়ে আলোচনার সুনির্দিষ্ট কার্যকর পয়েন্ট আছে, এই পয়েন্টগুলো পাস কাটিয়ে সারা দিন যতোই আলোচনা করি, সেগুলো অর্থহীন। 

[৫] আরেকটা কথা, অগ্নিকাণ্ড কোনো ক্রিকেট ম্যাচ নয়, সারাক্ষণ লাইভ সম্প্রচার আর ধারাবিবরণী দেওয়ার বিষয় এটি না। আগুনের বীভৎসতার লাইভ দৃশ্য দুর্বলচিত্তের কোনো নাগরিকের হার্টফেইল বা মানসিক অসুস্থতার কারণ হতে পারে। এইসব বিষয় বিবেচনায় রাখাটা মিডিয়ার দায়িত্বশীলতার মধ্যে পরে। লেখক: কানাডা প্রবাসী সাংবাদিক